Collaboration, Research Work, Networking
|

গবেষণা পদ্ধতি কোলাবরেশন ও নেটওয়ার্কিং বিষয়ক ট্রেনিং

গবেষণা পদ্ধতি, কোলাবরেশন এর মাধ্যমে গবেষণা, এবং চাকুরী পাওয়ার ক্ষেত্রে নেটওয়ার্কিং এই তিনটি বিষয়কে একসূত্রে দেখা যায়।

স্যার, আমাকে একটা রেকমেন্ডেশন লেটার দিবেন?

ভাই, আপনাদের ওইখানে একটা জব পোস্ট হয়েছে সেটার জন্য আমাকে রেফার করবেন?

কিংবা

আমি ওই পজিশনটা তে এপ্লাই করে আপনাকে রেফারি হিসেবে দিয়েছি আমার জন্য একটু ভালো কিছু বলবেন

এরকম রিকোয়েস্ট প্রতি দুই সপ্তাহে অন্তত একবার পাই। ‌

আমাদের শিক্ষার্থী ও নবীনদের সহায়তা করতে সবসময়ই প্রস্তুত থাকি। প্রশ্ন হচ্ছে সহায়তা যারা নিতে চায় তারা প্রস্তুত কি না?

এযাবত অভিজ্ঞতার আলোকে বলব বেশিরভাগই প্রস্তুত থাকেনা। কিন্তু শেষ মুহূর্তে অনুরোধ করে যেটি রাখা সম্ভব হয়না।

কেউ কোন কিছু রিকোয়েস্ট করলে সেটা পুরন করার কিছু শর্ত আছে। এখানে এথিক্যাল কিছু ব্যাপার আছে। আছে সত্তিকার এভালুয়েট করার অপরচুনিটি আছে কিনা সেই ব্যাপারটি চিন্তা করার। ‌

আমি একবার একটা জবের জন্য একজন হায়ারিং ম্যানেজারকে প্রায় দুই বছর ফলো করেছি এবং তার সাথে নেটওয়ার্ক স্থাপন করেছি।

নেটওয়ার্ক স্থাপনই শেষ কথা নয়।

সেই নেটওয়ার্ক দুই বছর ধরে বজায় রেখেছি।

বলছি না সব নেটওয়ার্ক এত সময় ধরে তৈরি করতে হয়। ‌ এটি আমার জীবনের অন্যতম দীর্ঘ সময় ধরে তৈরি করা একটি নেটওয়ার্ক।

তার পরেও সেখানে সফল হইনি। ‌

তাতে আক্ষেপ নেই।

এই নেটওয়ার্কের সূত্র ধরে তার সাথে আমার দুই বার ইনফর্মাল ইন্টারভিউ হয়েছে। একে অপরকে জেনেছি। ‌ তার কাজের স্কোপ বোঝানোর চেষ্টা করেছি। তিনি যে ধরনের ব্যাকগ্রাউন্ডের এক্সপার্ট চাইছিলেন আমি ঠিক সেই ধরনের না। যে কারণে প্রচেষ্টা সফল হয়নি।

এত সময় ধরে নেটওয়ার্ক করেও সফল না হতে পেরে হার্ড ফিলিংস হয়নি। কেননা আমরা মিউচুয়ালি একটা বিষয়ে এক হতে পারিনি।

জীবনে এগোনোর জন্য এবং কর্মক্ষেত্রে সফল হওয়ার জন্য নেটওয়ার্কিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

এই নেটওয়ার্কিং ব্যাপারটি কী সেটা একেক জন একেক ভাবে বুঝে।

আমি বুঝি নেটওয়ার্কিং হচ্ছে সেই রকম সম্পর্ক যা আপনার মনে লেগে থাকবে। এমন ভাবে লেগে থাকবে যে ইন্টারাকশনের স্মৃতিগুলো আপনার মনে ভেসে উঠবে যখন ওই ব্যক্তির নাম দেখবেন অথবা তার ইমেইল পাবেন বা তার সাথে সামনাসামনি সাক্ষাৎ হবে।

তিন বছর আগে ইমেইলে বা মেসেঞ্জারে যোগাযোগ হয়েছিল তার মানে এই নয় যে নেটওয়ার্ক স্থাপিত আছে। ‌ নেটওয়ার্ক হয়েছিল কোন এককালে কিন্তু সেই নেটওয়ার্কে চালু রাখার জন্য প্রচেষ্টা এবং সময় ব্যয় না করলে সেই নেটওয়ার্ক দুর্বল হয়ে যায়।

ফলে প্রয়োজনের সময় পূর্বে স্থাপিত নেটওয়ার্ক এর কাছে রিকোয়েস্ট করে এক ধরনের বিব্রতকর পরিস্থিতির ছাড়া আর কিছু তৈরি হয় না।

নেটওয়ার্কিং নানাভাবেই হতে পারে। তবে সবচেয়ে ভালো নেটওয়ার্কিং হতে পারে গবেষণার প্রজেক্টে কোলাবোরেট করার মাধ্যমে।

এতে করে শুধু একে অপরের সাথে কাজ করার অভিজ্ঞতা হয় না। যে নেটওয়ার্ক স্থাপিত হয় সেটি দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

রিসার্চওয়ে গবেষণা বিষয়ক ট্রেনিং প্রোগ্রাম চালু করেছে। ‌ তৃতীয় সেশন শুরু হবে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে।

আমি ইন্সট্রাক্টর হিসেবে থাকছি।

বিস্তারিত নিচের লিঙ্কে। ‌

অধিকাংশ প্রশ্নের উত্তর এই পেইজে থাকবে। বাড়তি প্রশ্নের জন্য নিজের মন্তব্য করলে উত্তর দেয়ার চেষ্টা থাকবে। ‌‌

আমাদের কোর্স রেজিস্ট্রেশন ফি অনেকের কাছে বেশি মনে হতে পারে। শুধুমাত্র বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে খানিকটা স্কলারশিপের সুযোগ আছে। এ ব্যাপারে জানতে কন্টাক্ট পারসন এর সাথে যোগাযোগ করতে হবে। ‌

🙂

https://researchwaybd.wordpress.com/2021/02/18/semi-supervised-research-training/

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *